উত্তর: ০১- আয়াতুল কুরসী পড়ব: اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ “আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সুপ্রতিষ্ঠিত ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। তাঁর জন্যই আসমানসমূহে যা রয়েছে তা এবং যমীনে যা আছে তা। কে সে, যে তাঁর নিকট সুপারিশ করবে তাঁর অনুমতি ছাড়া? তিনি জানেন যা আছে তাদের সামনে এবং যা আছে তাদের পেছনে। আর তারা তাঁর জ্ঞানের সামান্য পরিমাণও আয়ত্ব করতে পারে না, তবে তিনি যা চান তা ছাড়া। তাঁর কুরসী আসমানসমূহ ও যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে এবং এ দু’টোর সংরক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ, মহান।” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৫৫] ০২- আরো পড়ব: بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَـٰنِ ٱلرَّحِيمِ রহমান রহীম আল্লাহর নামে শুরু করছি। قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ “বলুন, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়, (১) اللَّهُ الصَّمَدُ আল্লাহ হচ্ছেন সামাদ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী); (২) لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ তিনি কাউকেও জন্ম দেননি এবং তাকেও জন্ম দেয়া হয়নি, (৩) وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ এবং তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।” (৪) তিনবার। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ রহমান ও রহীম আল্লাহর নামে। قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের (১) مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে, (২) وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়, (৩) وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুক দেয়, (৪) وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।” (৫) তিনবার। بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ রহমান ও রহীম আল্লাহর নামে। قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, (১) مَلِكِ النَّاسِ মানুষের অধিপতির, (২) إِلَهِ النَّاسِ মানুষের ইলাহের কাছে, (৩) مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে, (৪) الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, (৫) مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।” (৬) তিনবার। ০৩- اللهم أنت ربي لا إله إلا أنت، خلقتني وأنا عبدك، وأنا على عهدك ووعدك ما استطعت، أعوذ بك من شر ما صنعت، أبوء لك بنعمتك علي، وأبوء بذنبي، فاغفر لي، فإنه لا يغفر الذنوب إلا أنت “হে আল্লাহ! আপনি আমার রব। আপনি ছাড়া আর কোন সত্য উপাস্য নেই। আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমি আপনার বান্দা। আমি আপনার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি যা করেছি তার মন্দ থেকে আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর আপনার যে নি‘আমাত রয়েছে তা আমি স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও আমি স্বীকার করছি। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করেন। আপনি ছাড়া আর কেউ পাপ মার্জনা করার নাই।” এটি বুখারী বর্ণনা করেছেন।