উত্তর: - কেনাবেচার মধ্যে ধোকাবাজি, আর তা হচ্ছে: পণ্যের দোষ গোপন করা।
- জ্ঞান অর্জনে ধোকাবাজি, যেমন: শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করা।
- কথার মধ্যে ধোকাবাজি, যেমন: মিথ্যা ও প্রতারণামূলক সাক্ষ্য দেওয়া।
- তুমি যা বলেছ অথবা মানুষের সাথে একমত হয়ে চুক্তি করেছ, এমন বিষয় পূর্ণ না করা।
ধোঁকা দেওয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত একটি হাদীস রয়েছে:.
أنَّ رسولَ اللهِ ﷺ مرَّ على صُبْرةِ طعامٍ، فأَدخَلَ يدَه فيها، فنالَتْ أصابعُه بَلَلًا، فقال: «ما هذا يا صاحِبَ الطَّعامِ؟» قال: أصابَتْهُ السَّماءُ يا رسولَ اللهِ. قال: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন একটি খাদ্য শস্যের স্তুপের পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করলেন। তিনি স্তুপের ভেতর হাত প্রবেশ করালে তার হাতের আঙ্গুলগুলো ভিজে গেল। তিনি বললেন: হে স্তুপের মালিক! এ কি ব্যাপার? লোকটি বলল: হে আল্লাহর রাসূল! এতে বৃষ্টির পানি লেগেছে। তিনি বললেন: «أفلا جَعَلْتَه فَوقَ الطَّعامِ كَيْ يَراهُ النَّاسُ؟ مَن غَشَّ فليس مِنِّي» “সেগুলো তুমি স্তুপের ওপরে রাখলে না কেন? তাহলে লোকেরা দেখে নিতে পারতো। জেনে রাখো, যে ব্যক্তি ধোকাবাজি করে, আমার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই।” এটি মুসলিম বর্ণনা করেছেন।
الصُّبْرَة শব্দের অর্থ: খাদ্য-শস্যের স্তুপ।