উত্তর: মোট চৌদ্দটি রুকন, যেমন:
১। সক্ষম ব্যক্তির জন্য ফরয সালাতে দন্ডায়মান হওয়া।
২। তাকবীরে তাহরীমা বলা, আর তা হচ্ছে: “আল্লাহু আকবার”।
৩। সূরা ফাতিহা পড়া।
৪। রুকু করা: রুকুর সময় পিঠ সমান রাখা অবস্থায় টান টান রাখবে এবং মাথাকে তার বরাবর রাখবে।
৫। রুকু থেকে উঠা।
৬। দাঁড়ানো অবস্থায় স্থীর হওয়া।
৭। সিজদা করা: স্বীয় কপাল, নাক, দুই হাতের তালু, দুই পায়ের আঙ্গুলসমূহের অগ্রভাগ জমিনে তার সিজদার স্থানে রাখা।
৮। সিজদা থেকে উঠা।
৯। দুই সিজদার মাঝখানে বসা।
আর সুন্নাহ হচ্ছে: (মুসল্লী) তার বাম পায়ের উপরে ইফতিরাশী বৈঠক করবে, আর ডান পা উচু করে রাখবে এবং তা কিবলামূখী করে রাখবে।
১০। ধীরস্থিরতা: এটি হচ্ছে: প্রতিটি কর্ম সংক্রান্ত রুকনে স্থীরতা অবলম্বন করা।
১১। শেষ তাশাহহুদ পাঠ করা।
১২। তাশাহহুদের জন্য বসা।
১৩। দুই সালাম দেওয়া: এটি হচ্ছে: “আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ” বাক্যটি দুইবার বলা।
১৪। রুকনসমূহের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা- যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি-। সুতরাং যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রুকুর আগে সিজদা করে, তাহলে সালাত বাতিল হয়ে যাবে। আর যদি ভুলে করে, তাহলে তাকে অবশ্যই রুকুতে ফিরে যেতে হবে এবং তারপর সিজদা করবে।